ঢাকা , বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo শান্তিগঞ্জে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়  Logo সুনামগঞ্জের জিল্লুর রহমান সহ ছয় অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি Logo দিরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কোন অনিয়ম দালালির সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে Logo ল্যাব সংস্কারের টাকা আত্মসা শাল্লায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তুলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোব! Logo শান্তিগঞ্জে জামায়াতের উদ্যোগে সিরাত মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি নয়, বিধবা কার্ড বাতিলের অভিযোগ Logo বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় সীমান্তিকের উদ্যাগে বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস উদযাপন Logo সিলেটে পাথরবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঔষধ কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার নিহত Logo পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআলী নেওয়াজের ইন্তেকাল

সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার, যা জানা দরকার

‘সেহরিতে আপনি এমন খাবার খাবেন যেন সারা দিন আপনি ঝরঝরে থাকতে পারেন, তরতরে থাকতে পারেন এবং প্রাণবন্ত থাকেন। সারা দিন পিপাসার কষ্ট যদি আপন না পেতে চান, সারা দিন যদি ঝরঝরে থাকতে চান, তাহলে সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করুন। মাছ, মাংস, ডিম বন্ধ রাখুন। খাবেন এগুলো; ইফতারে খাবেন।’সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে দিনভর খাদ্য ও পানীয় বর্জন করে সংযম পালন করবেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। এ সময়টা যেহেতু অনেক লম্বা, সে ক্ষেত্রে কী খেলে দিনটা ভালো কাটবে, তা জানা জরুরি।সেহরিতে কোন ধরনের খাবার গ্রহণ ও কোনগুলো বর্জন করা উচিত, তা এক ভিডিওতে জানিয়েছেন মনোদৈহিক ও জীবনযাপনবিষয়ক রোগের থেরাপিস্ট এবং কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কোঅর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। পরামর্শগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

অতিভোজন নয়

সেহরিতে উঠে আমাদের প্রথম মনে হয়, ওরে সর্বনাশ! সারা দিন কিছু খাব না! একটু বেশি করে খেয়ে নিই। না হলে না জানি কত কষ্ট হবে। অতএব গলা পর্যন্ত আমরা খেয়ে ফেলি। ভাত বা রুটি, সাথে প্রচুর শাকসবজি থাকে। মাছ-মাংস থাকে, ডিম থাকে, এটা সেটা থাকে, ভাজাপোড়া থাকে। শরীরের প্রথম কষ্ট শুরু করলেন আপনি এই পুরো ক্ষতিকর খাবার দিয়ে।

খাদ্যতালিকা

তো সেহরিতে কী করবেন? সেহরিতে আপনি এমন খাবার খাবেন যেন সারা দিন আপনি ঝরঝরে থাকতে পারেন, তরতরে থাকতে পারেন এবং প্রাণবন্ত থাকেন। সারা দিন পিপাসার কষ্ট যদি আপন না পেতে চান, সারা দিন যদি ঝরঝরে থাকতে চান, তাহলে সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করুন। মাছ, মাংস, ডিম বন্ধ রাখুন। খাবেন এগুলো; ইফতারে খাবেন।তাহলে কী খাবেন সেহরিতে আর কী বর্জন করবেন? কোনো রকম ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড এগুলো খাবেন না। তাহলে সেহরিতে আমরা কী খাব?খুব হালকা খাবার। স্টোমাকের (পাকস্থলি) জন্য সফট, দেহের জন্য সফট এবং আপনার জন্য হেলদি। কী খাবার? আপনি অল্প একটু ভাত নেন এবং সবজি নেন। ব্যস। তারপর পানি পান করুন। হয়ে গেল আপনার সেহরি অথবা আপনি দুই-তিনটা খেজুর নিন। একটা বা দুটো কলা নিন। ব্যস। তারপর পর্যাপ্ত পানি পান করুন।এর বাইরে এক মুঠো বা দুই মুঠো চিড়া ভিজিয়ে রাখুন। এর সাথে টক দই দিয়ে, খেজুরের গুড় দিয়ে মিশিয়ে চমৎকারভাবে চিড়া, টক দই খেয়ে ফেলুন।সারা বছর যেন আমার ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) তরতাজা থাকে, ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ যেন করতে পারি, সেই জন্য সেহরিতে প্রত্যেক রাত্রে এক কোয়া কাঁচা রসুন এবং আদা চা চামচ কালোজিরা খাবারের সাথে মিশিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। আর পর্যাপ্ত পানি পান করুন সাথে।আপনার যদি অনেক ওজন বেশি থাকে, আপনার যদি টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে আপনি কী করতে পারেন? ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং আপনি রাখতে পারেন সপ্তাহে তিন দিন। তাহলে পুরো রমজানজুড়ে ১২ কে ১৪ দিন আপনি ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং। কীভাবে? সেই ক্ষেত্রে আপনি সেহরি করবেন শুধু পানি দিয়ে। পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। এটাই হলো আপনার জন্য সেহরি, আবার ইফতার। পরের দিন ভোররাত্রে পানি, আবার ইফতার। এই ২৪ ঘণ্টা ফাস্টিং সপ্তাহে তিন দিন। পরপর তিন দিন। আবার চার দিন নরমালি। নরমাল সেহরি ইফতার। আবার পরপর তিন দিন ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং।সম্প্রতি দুটি গবেষণা বলছে, সপ্তাহে তিন দিন ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং আপনার ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স রিভার্স করে আপনার টাইপ টু ডায়াবেটিস নিরাময় করতে সক্ষম হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

শান্তিগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার, যা জানা দরকার

আপডেট সময় ১১:২৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
‘সেহরিতে আপনি এমন খাবার খাবেন যেন সারা দিন আপনি ঝরঝরে থাকতে পারেন, তরতরে থাকতে পারেন এবং প্রাণবন্ত থাকেন। সারা দিন পিপাসার কষ্ট যদি আপন না পেতে চান, সারা দিন যদি ঝরঝরে থাকতে চান, তাহলে সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করুন। মাছ, মাংস, ডিম বন্ধ রাখুন। খাবেন এগুলো; ইফতারে খাবেন।’সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে দিনভর খাদ্য ও পানীয় বর্জন করে সংযম পালন করবেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা। এ সময়টা যেহেতু অনেক লম্বা, সে ক্ষেত্রে কী খেলে দিনটা ভালো কাটবে, তা জানা জরুরি।সেহরিতে কোন ধরনের খাবার গ্রহণ ও কোনগুলো বর্জন করা উচিত, তা এক ভিডিওতে জানিয়েছেন মনোদৈহিক ও জীবনযাপনবিষয়ক রোগের থেরাপিস্ট এবং কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কোঅর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। পরামর্শগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

অতিভোজন নয়

সেহরিতে উঠে আমাদের প্রথম মনে হয়, ওরে সর্বনাশ! সারা দিন কিছু খাব না! একটু বেশি করে খেয়ে নিই। না হলে না জানি কত কষ্ট হবে। অতএব গলা পর্যন্ত আমরা খেয়ে ফেলি। ভাত বা রুটি, সাথে প্রচুর শাকসবজি থাকে। মাছ-মাংস থাকে, ডিম থাকে, এটা সেটা থাকে, ভাজাপোড়া থাকে। শরীরের প্রথম কষ্ট শুরু করলেন আপনি এই পুরো ক্ষতিকর খাবার দিয়ে।

খাদ্যতালিকা

তো সেহরিতে কী করবেন? সেহরিতে আপনি এমন খাবার খাবেন যেন সারা দিন আপনি ঝরঝরে থাকতে পারেন, তরতরে থাকতে পারেন এবং প্রাণবন্ত থাকেন। সারা দিন পিপাসার কষ্ট যদি আপন না পেতে চান, সারা দিন যদি ঝরঝরে থাকতে চান, তাহলে সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করুন। মাছ, মাংস, ডিম বন্ধ রাখুন। খাবেন এগুলো; ইফতারে খাবেন।তাহলে কী খাবেন সেহরিতে আর কী বর্জন করবেন? কোনো রকম ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড এগুলো খাবেন না। তাহলে সেহরিতে আমরা কী খাব?খুব হালকা খাবার। স্টোমাকের (পাকস্থলি) জন্য সফট, দেহের জন্য সফট এবং আপনার জন্য হেলদি। কী খাবার? আপনি অল্প একটু ভাত নেন এবং সবজি নেন। ব্যস। তারপর পানি পান করুন। হয়ে গেল আপনার সেহরি অথবা আপনি দুই-তিনটা খেজুর নিন। একটা বা দুটো কলা নিন। ব্যস। তারপর পর্যাপ্ত পানি পান করুন।এর বাইরে এক মুঠো বা দুই মুঠো চিড়া ভিজিয়ে রাখুন। এর সাথে টক দই দিয়ে, খেজুরের গুড় দিয়ে মিশিয়ে চমৎকারভাবে চিড়া, টক দই খেয়ে ফেলুন।সারা বছর যেন আমার ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) তরতাজা থাকে, ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ যেন করতে পারি, সেই জন্য সেহরিতে প্রত্যেক রাত্রে এক কোয়া কাঁচা রসুন এবং আদা চা চামচ কালোজিরা খাবারের সাথে মিশিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। আর পর্যাপ্ত পানি পান করুন সাথে।আপনার যদি অনেক ওজন বেশি থাকে, আপনার যদি টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে আপনি কী করতে পারেন? ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং আপনি রাখতে পারেন সপ্তাহে তিন দিন। তাহলে পুরো রমজানজুড়ে ১২ কে ১৪ দিন আপনি ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং। কীভাবে? সেই ক্ষেত্রে আপনি সেহরি করবেন শুধু পানি দিয়ে। পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। এটাই হলো আপনার জন্য সেহরি, আবার ইফতার। পরের দিন ভোররাত্রে পানি, আবার ইফতার। এই ২৪ ঘণ্টা ফাস্টিং সপ্তাহে তিন দিন। পরপর তিন দিন। আবার চার দিন নরমালি। নরমাল সেহরি ইফতার। আবার পরপর তিন দিন ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং।সম্প্রতি দুটি গবেষণা বলছে, সপ্তাহে তিন দিন ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং আপনার ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স রিভার্স করে আপনার টাইপ টু ডায়াবেটিস নিরাময় করতে সক্ষম হবে।