ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার Logo সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রফিনগর গ্রামের সাজ্জাতুলের বাড়িঘরে হামলা,ভাংচুর লুটপাঠসহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত -নিহতদের স্মরণে দোয়ারাবাজারে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার পতনের ষড়যন্ত্র গোপন বৈঠকে থাকা ছাত্রলীগের ৩৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি Logo শান্তিগঞ্জে বিনামূল্যে গরু বিতরণের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ Logo দোয়ারাবাজারে সরকারি গাছ কর্তন।। জব্দ করলো প্রশাসন Logo শান্তিগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা  Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাহিরপুরে’স্মরণ সভা’ Logo ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে শান্তিগঞ্জে ‘স্মরণ সভা’ Logo চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ বাম্পার ফলনে শান্তিগঞ্জের কৃষকের মুখে হাসি

ভারতের তিস্তা নদীতে আরো দুটি খাল খনন নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীতে দুটি খাল খনন করার খবর প্রকাশ হবার পর, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেবার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হবে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না’ বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা প্রকল্পের অধীনে আরো দুটি সেচ খাল খননের কথা জানা যায়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজার একর জমির মালিকানা পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগকে হস্তান্তর করা হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়।প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এই দুটি খাল খনন করা হলে ভারতের জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার জেলার কৃষকরা উপকৃত হবে। কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কারণ, এর ফলে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে পানির প্রবাহ আরো কমে যাবে।তিস্তায় এই খাল খনন বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, “অফিসিয়ালি আমরা এখনো কিছু জানি না বা আমাদের কাছে আসে নাই।”গত রোববার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হবে।তবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মি. আহসান বলেন, “এ বিষয়টা আমাদের কাছে এখনো, ওরকম কোন তথ্য আসে নাই।… সেরকম তথ্য আমরা যদি পাই আমাদের কুটনৈতিক চ্যানেলে তাহলে আমরা অবশ্যই সে বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো আরকি আমরা।”যৌথ নদী কমিশন
বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন যে, তিস্তা প্রকল্পের অধীনে খাল খনন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে গত ১৬ই মার্চ ভারতের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির কোন উত্তর পাননি।মি. হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে “আমাদের পক্ষ থেকে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি এবং তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছি।”তিনি বলেন, এমনিতে খাল সম্প্রসারণ করলে অসুবিধা নাই। কারণ গজলডোবায় বাঁধ আগে থেকেই আছে এবং খালও আগে থেকেই আছে।“গজলডোবা ব্যারেজের ইমিডিয়েট আপস্ট্রিমে দুই দিকে দুইটা ডাইভারশন ক্যানাল আছে। পশ্চিম দিকে একটা, পূর্বদিকে একটা। পত্র-পত্রিকায় জানলাম, পূর্বদিকের ক্যানালকেই ওরা এক্সটেন্ড করবে।”যৌথ নদী কমিশনের এই সদস্য বলেন, বর্ষাকালে কৃষিকাজের জন্য পানি সরালে এর ফলে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি শুষ্ক মৌসুমে পানি সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য সংকট সৃষ্টি করবে।পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি আটকে আছে। বরাবরই পানি না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

পানি বন্টনের খাল
পশ্চিমবঙ্গের নর্থবেঙ্গল ইউনিভার্সিটির ভূগোল বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক সুবীর সরকার বলেন, তিস্তা প্রকল্পের অধীনে যে খাল খনন করার কথা বলা হচ্ছে সেটি আসলে নতুন কিছু নয়। বরং তিস্তা বাঁধ নির্মাণ মূল প্রকল্পেরই অংশ।তার মতে, প্রায় ২০ বছর আগে বাঁধ ও মূল খাল নির্মাণ শেষ হলেও এর পানি বন্টন করার খালগুলো এখনো তৈরি হয়নি। এই খালগুলো তৈরি না হওয়ায় পানি সেচের জন্য ব্যবহার করা যাচ্ছে না এবং অপচয় হচ্ছে।যে জায়গা দিয়ে এই খালগুলো নির্মাণ করা হবে এতোদিন সেগুলো অধিগ্রহণ করা যায়নি বলে খালের নির্মানকাজ আটকে ছিল। চলতি মাসের গোড়ার দিকে ভূমির মালিকানা পাওয়ার কারণে এখন এটি খননের কাজ শুরু হচ্ছে।চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা প্রকল্পের অধীনে আরো দুটি সেচ খাল খননের কথা জানা যায়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজার একর জমির মালিকানা পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগকে হস্তান্তর করা হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়।প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এই দুটি খাল খনন করা হলে ভারতের জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার জেলার কৃষকরা উপকৃত হবে। কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কারণ, এর ফলে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে পানির প্রবাহ আরো কমে যাবে।তিস্তায় এই খাল খনন বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, “অফিসিয়ালি আমরা এখনো কিছু জানি না বা আমাদের কাছে আসে নাই।”গত রোববার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হবে।তবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মি. আহসান বলেন, “এ বিষয়টা আমাদের কাছে এখনো, ওরকম কোন তথ্য আসে নাই।… সেরকম তথ্য আমরা যদি পাই আমাদের কুটনৈতিক চ্যানেলে তাহলে আমরা অবশ্যই সে বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো আরকরা।”

যৌথ নদী কমিশন

বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন যে, তিস্তা প্রকল্পের অধীনে খাল খনন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে গত ১৬ই মার্চ ভারতের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির কোন উত্তর পাননি।মি. হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে “আমাদের পক্ষ থেকে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি এবং তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছি।”তিনি বলেন, এমনিতে খাল সম্প্রসারণ করলে অসুবিধা নাই। কারণ গজলডোবায় বাঁধ আগে থেকেই আছে এবং খালও আগে থেকেই আছে।“গজলডোবা ব্যারেজের ইমিডিয়েট আপস্ট্রিমে দুই দিকে দুইটা ডাইভারশন ক্যানাল আছে। পশ্চিম দিকে একটা, পূর্বদিকে একটা। পত্র-পত্রিকায় জানলাম, পূর্বদিকের ক্যানালকেই ওরা এক্সটেন্ড করবে।”যৌথ নদী কমিশনের এই সদস্য বলেন, বর্ষাকালে কৃষিকাজের জন্য পানি সরালে এর ফলে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি শুষ্ক মৌসুমে পানি সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য সংকট সৃষ্টি করবে।পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি আটকে আছে। বরাবরই পানি না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ নেতার দখল থেকে সরকারী ভুমি পুনরুদ্ধার

ভারতের তিস্তা নদীতে আরো দুটি খাল খনন নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

আপডেট সময় ১১:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীতে দুটি খাল খনন করার খবর প্রকাশ হবার পর, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেবার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হবে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না’ বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা প্রকল্পের অধীনে আরো দুটি সেচ খাল খননের কথা জানা যায়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজার একর জমির মালিকানা পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগকে হস্তান্তর করা হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়।প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এই দুটি খাল খনন করা হলে ভারতের জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার জেলার কৃষকরা উপকৃত হবে। কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কারণ, এর ফলে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে পানির প্রবাহ আরো কমে যাবে।তিস্তায় এই খাল খনন বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, “অফিসিয়ালি আমরা এখনো কিছু জানি না বা আমাদের কাছে আসে নাই।”গত রোববার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হবে।তবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মি. আহসান বলেন, “এ বিষয়টা আমাদের কাছে এখনো, ওরকম কোন তথ্য আসে নাই।… সেরকম তথ্য আমরা যদি পাই আমাদের কুটনৈতিক চ্যানেলে তাহলে আমরা অবশ্যই সে বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো আরকি আমরা।”যৌথ নদী কমিশন
বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন যে, তিস্তা প্রকল্পের অধীনে খাল খনন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে গত ১৬ই মার্চ ভারতের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির কোন উত্তর পাননি।মি. হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে “আমাদের পক্ষ থেকে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি এবং তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছি।”তিনি বলেন, এমনিতে খাল সম্প্রসারণ করলে অসুবিধা নাই। কারণ গজলডোবায় বাঁধ আগে থেকেই আছে এবং খালও আগে থেকেই আছে।“গজলডোবা ব্যারেজের ইমিডিয়েট আপস্ট্রিমে দুই দিকে দুইটা ডাইভারশন ক্যানাল আছে। পশ্চিম দিকে একটা, পূর্বদিকে একটা। পত্র-পত্রিকায় জানলাম, পূর্বদিকের ক্যানালকেই ওরা এক্সটেন্ড করবে।”যৌথ নদী কমিশনের এই সদস্য বলেন, বর্ষাকালে কৃষিকাজের জন্য পানি সরালে এর ফলে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি শুষ্ক মৌসুমে পানি সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য সংকট সৃষ্টি করবে।পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি আটকে আছে। বরাবরই পানি না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

পানি বন্টনের খাল
পশ্চিমবঙ্গের নর্থবেঙ্গল ইউনিভার্সিটির ভূগোল বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক সুবীর সরকার বলেন, তিস্তা প্রকল্পের অধীনে যে খাল খনন করার কথা বলা হচ্ছে সেটি আসলে নতুন কিছু নয়। বরং তিস্তা বাঁধ নির্মাণ মূল প্রকল্পেরই অংশ।তার মতে, প্রায় ২০ বছর আগে বাঁধ ও মূল খাল নির্মাণ শেষ হলেও এর পানি বন্টন করার খালগুলো এখনো তৈরি হয়নি। এই খালগুলো তৈরি না হওয়ায় পানি সেচের জন্য ব্যবহার করা যাচ্ছে না এবং অপচয় হচ্ছে।যে জায়গা দিয়ে এই খালগুলো নির্মাণ করা হবে এতোদিন সেগুলো অধিগ্রহণ করা যায়নি বলে খালের নির্মানকাজ আটকে ছিল। চলতি মাসের গোড়ার দিকে ভূমির মালিকানা পাওয়ার কারণে এখন এটি খননের কাজ শুরু হচ্ছে।চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা প্রকল্পের অধীনে আরো দুটি সেচ খাল খননের কথা জানা যায়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজার একর জমির মালিকানা পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগকে হস্তান্তর করা হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়।প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এই দুটি খাল খনন করা হলে ভারতের জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার জেলার কৃষকরা উপকৃত হবে। কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কারণ, এর ফলে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে পানির প্রবাহ আরো কমে যাবে।তিস্তায় এই খাল খনন বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, “অফিসিয়ালি আমরা এখনো কিছু জানি না বা আমাদের কাছে আসে নাই।”গত রোববার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হবে।তবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মি. আহসান বলেন, “এ বিষয়টা আমাদের কাছে এখনো, ওরকম কোন তথ্য আসে নাই।… সেরকম তথ্য আমরা যদি পাই আমাদের কুটনৈতিক চ্যানেলে তাহলে আমরা অবশ্যই সে বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো আরকরা।”

যৌথ নদী কমিশন

বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন যে, তিস্তা প্রকল্পের অধীনে খাল খনন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে গত ১৬ই মার্চ ভারতের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির কোন উত্তর পাননি।মি. হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে “আমাদের পক্ষ থেকে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি এবং তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছি।”তিনি বলেন, এমনিতে খাল সম্প্রসারণ করলে অসুবিধা নাই। কারণ গজলডোবায় বাঁধ আগে থেকেই আছে এবং খালও আগে থেকেই আছে।“গজলডোবা ব্যারেজের ইমিডিয়েট আপস্ট্রিমে দুই দিকে দুইটা ডাইভারশন ক্যানাল আছে। পশ্চিম দিকে একটা, পূর্বদিকে একটা। পত্র-পত্রিকায় জানলাম, পূর্বদিকের ক্যানালকেই ওরা এক্সটেন্ড করবে।”যৌথ নদী কমিশনের এই সদস্য বলেন, বর্ষাকালে কৃষিকাজের জন্য পানি সরালে এর ফলে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি শুষ্ক মৌসুমে পানি সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য সংকট সৃষ্টি করবে।পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি আটকে আছে। বরাবরই পানি না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।