ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। Logo শান্তিগঞ্জের জয়সিদ্ধি-বসিউয়াখাউরী গ্রামে বিএনপির কর্মী সভা Logo জগন্নাথপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কমিটি গঠন Logo পরিবেশ নষ্ট করে কোন বাঁধ নির্মাণ হবেনা – পরিবেশ উপদেষ্টা Logo হাওরের জন্য সরকারের মাস্টার প্লান আছে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo জগন্নাথপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo মাটিয়াইন ও টাঙুয়ার হাওর পরিদর্শন….. আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক ইউনিয়ন কর্মশালা Logo ২০২৫–২৬ সেশনের জন্য ২নং পাটলী ইউনিয়ন জামায়াতের কমিটি ঘোষণা।

মন্দিরের টাকা আত্বসাত ইউপি সচিবসহ ৬ আওয়ামীলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার:
(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার নয়াহালট দুর্গা মন্দিরের টাকা আত্বসাতের অভিযোগে ইউপি সচিবসহ ৬ আওয়ামী লীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামালগঞ্জ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন বৈদ্য। আসামীরা হলেন উপজেলার ভীমখালি ইউপি সচিব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অজিত কুমার রায়, নয়াহালট গ্রামের নিরঞ্জন বৈদ্যর পুত্র ধীমান বৈদ্য, বিমল বৈদ্যর পুত্র রঞ্জিত বৈদ্য, হরকুমার বৈদ্যর পুত্র পরিতোষ বৈদ্য, আনল বৈদ্যর পুত্র মিটন বৈদ্য, কিরন বৈদ্যর পুত্র লিটন বৈদ্য।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ইউপি সচিব অজিত কুমার রায় ছিলেন সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ঘনিষ্ট লোক। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও এমপি রতনের প্রভাব খাটিয়ে মন্দির মসজিদসহ বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প তৈরি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। নয়াহালট দুর্গা মন্দিরের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য টিআর ২য় পর্যায়ের প্রকল্প নং ০৩, ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরে একটি ভূয়া প্রকল্প তৈরি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। আর এই প্রকল্প কমিটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ধীমান বৈদ্যকে সভাপতি, রঞ্জিত বৈদ্যকে সাধারণ সম্পাদক ও পরিতোষ বৈদ্য, মিটন বৈদ্য, লিটন বৈদ্যকে সদস্য হিসেবে দেখানো হয়।
গ্রামের লোকজন জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হলে উভয় পক্ষকে তলব করে টাকা আত্বসাতের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু ইউপি সচিব মন্দিরের টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করলে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মহসিন রেজা মানিক জানান, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুরের ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দকে শিবির কর্মী বলে প্রচারণা চালানোয় জগন্নাথপুর উপজেলা জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।

মন্দিরের টাকা আত্বসাত ইউপি সচিবসহ ৬ আওয়ামীলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

আপডেট সময় ০৪:০৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:
(সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার নয়াহালট দুর্গা মন্দিরের টাকা আত্বসাতের অভিযোগে ইউপি সচিবসহ ৬ আওয়ামী লীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জামালগঞ্জ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন বৈদ্য। আসামীরা হলেন উপজেলার ভীমখালি ইউপি সচিব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অজিত কুমার রায়, নয়াহালট গ্রামের নিরঞ্জন বৈদ্যর পুত্র ধীমান বৈদ্য, বিমল বৈদ্যর পুত্র রঞ্জিত বৈদ্য, হরকুমার বৈদ্যর পুত্র পরিতোষ বৈদ্য, আনল বৈদ্যর পুত্র মিটন বৈদ্য, কিরন বৈদ্যর পুত্র লিটন বৈদ্য।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ইউপি সচিব অজিত কুমার রায় ছিলেন সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ঘনিষ্ট লোক। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও এমপি রতনের প্রভাব খাটিয়ে মন্দির মসজিদসহ বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প তৈরি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। নয়াহালট দুর্গা মন্দিরের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য টিআর ২য় পর্যায়ের প্রকল্প নং ০৩, ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরে একটি ভূয়া প্রকল্প তৈরি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। আর এই প্রকল্প কমিটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ধীমান বৈদ্যকে সভাপতি, রঞ্জিত বৈদ্যকে সাধারণ সম্পাদক ও পরিতোষ বৈদ্য, মিটন বৈদ্য, লিটন বৈদ্যকে সদস্য হিসেবে দেখানো হয়।
গ্রামের লোকজন জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্থ হলে উভয় পক্ষকে তলব করে টাকা আত্বসাতের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। কিন্তু ইউপি সচিব মন্দিরের টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করলে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মহসিন রেজা মানিক জানান, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।