ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি নিখোঁজ মাওলানা মোশতাক আহমদের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন Logo সুনামগঞ্জে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী নিখোঁজ Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জগন্নাথপুরে আলোচনা সভা ও দলীয় কার্যালয় উদ্ভোধন Logo মধ্যনগরে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদের ফরম ক্রয়কে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে Logo বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জে বর্ণ্যাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo শান্তিগঞ্জে মানসিক রোগীর লাশ উদ্ধার Logo শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo জগন্নাথপুর জমিয়তের সভাপতি মাসরুর কাসেমীর সাথে হাম্মাদ গাজিনগরীর বৈঠক Logo শান্তিগঞ্জে ব্যতিক্রমধর্মী গণসংযোগে মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরী Logo সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০২৫

সুনামগঞ্জে দুই বছরের ব্যবধানে দুই বোনের আত্মহত্যা, শোকে স্তব্ধ মা

  • আব্দুল্লাহ নাঈম
  • আপডেট সময় ০৫:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫৩ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ সদর প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকায় একই পরিবারের ওপর নেমে এসেছে ভয়াবহ শোকের ছায়া। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে দুই মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মা মুক্তা মোর্শেদা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাহসিন মেহজাবিন (২১)। তিনি এইচএসসি পাস করে ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মেহজাবিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ তাদের বাসায় ভিড় করেন। এলাকাবাসী বিস্মিত—কেন এমন মর্মান্তিক পরিণতি বেছে নিলেন তিনি?
তার মামাতো ভাই জোহায়েব নুর হামিম জানান, তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। হঠাৎ বাসা থেকে ফোন আসে—মেহজাবিন আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত নিচে নামালেও, সব শেষ হয়ে যায়।
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর এলাকায় সেতু থেকে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারান মেহজাবিনের ছোট বোন, স্কুলছাত্রী জেসমিন আক্তার তাজিন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজিন বান্ধবীদের সঙ্গে সেতুতে ঘুরতে গিয়ে রেলিংয়ে ওঠেন। এক বান্ধবী তার হাত ধরে রেখেছিল, কিন্তু হঠাৎ হাত ছেড়ে দিলে নদীতে পড়ে যান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি আত্মহত্যা ছিল, তবে পরিবারের দাবি ছিল এটি দুর্ঘটনা।
এভাবে দুই মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা মুক্তা মোর্শেদা। কান্নার শক্তিও যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মেহজাবিন ও তাজিনের বাবা রায়হানুর রহমান রায়ানের সঙ্গে মুক্তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৯ বছর আগে। পরবর্তীতে দুজনই নতুন সংসার শুরু করেন। মুক্তা সুনামগঞ্জ কালেক্টরেটে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন, কিন্তু এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ার পর তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, “পরিবার থেকে আত্মহত্যার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।”
এখনো কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না, মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এক পরিবারের দুই বোন কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? স্তব্ধ পুরো সুনামগঞ্জ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন

সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি নিখোঁজ মাওলানা মোশতাক আহমদের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জে দুই বছরের ব্যবধানে দুই বোনের আত্মহত্যা, শোকে স্তব্ধ মা

আপডেট সময় ০৫:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জ সদর প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকায় একই পরিবারের ওপর নেমে এসেছে ভয়াবহ শোকের ছায়া। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে দুই মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মা মুক্তা মোর্শেদা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাহসিন মেহজাবিন (২১)। তিনি এইচএসসি পাস করে ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মেহজাবিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ তাদের বাসায় ভিড় করেন। এলাকাবাসী বিস্মিত—কেন এমন মর্মান্তিক পরিণতি বেছে নিলেন তিনি?
তার মামাতো ভাই জোহায়েব নুর হামিম জানান, তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। হঠাৎ বাসা থেকে ফোন আসে—মেহজাবিন আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত নিচে নামালেও, সব শেষ হয়ে যায়।
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর এলাকায় সেতু থেকে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারান মেহজাবিনের ছোট বোন, স্কুলছাত্রী জেসমিন আক্তার তাজিন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজিন বান্ধবীদের সঙ্গে সেতুতে ঘুরতে গিয়ে রেলিংয়ে ওঠেন। এক বান্ধবী তার হাত ধরে রেখেছিল, কিন্তু হঠাৎ হাত ছেড়ে দিলে নদীতে পড়ে যান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি আত্মহত্যা ছিল, তবে পরিবারের দাবি ছিল এটি দুর্ঘটনা।
এভাবে দুই মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা মুক্তা মোর্শেদা। কান্নার শক্তিও যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মেহজাবিন ও তাজিনের বাবা রায়হানুর রহমান রায়ানের সঙ্গে মুক্তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৯ বছর আগে। পরবর্তীতে দুজনই নতুন সংসার শুরু করেন। মুক্তা সুনামগঞ্জ কালেক্টরেটে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন, কিন্তু এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ার পর তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, “পরিবার থেকে আত্মহত্যার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।”
এখনো কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না, মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এক পরিবারের দুই বোন কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? স্তব্ধ পুরো সুনামগঞ্জ।