ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
Logo পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা জামায়াতের মহাসমাবেশ উপলক্ষে পাথারিয়া ইউপি জামায়াতের প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন Logo শান্তিগঞ্জের সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে হতাশাজনক এসএসসি ফলাফল পাশের হার মাত্র ৬০.১২%, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ Logo সিলেটে পাসের হার ৬৮.৫৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬১৪ জন Logo এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫, কমেছে জিপিএ-৫ Logo জলঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় Logo ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo সুনামগঞ্জে ৩০০ বোতল চোলাই মদসহ গ্রেফতার ১ Logo সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দিরাই উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

সুনামগঞ্জে দুই বছরের ব্যবধানে দুই বোনের আত্মহত্যা, শোকে স্তব্ধ মা

  • আব্দুল্লাহ নাঈম
  • আপডেট সময় ০৫:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ সদর প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকায় একই পরিবারের ওপর নেমে এসেছে ভয়াবহ শোকের ছায়া। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে দুই মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মা মুক্তা মোর্শেদা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাহসিন মেহজাবিন (২১)। তিনি এইচএসসি পাস করে ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মেহজাবিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ তাদের বাসায় ভিড় করেন। এলাকাবাসী বিস্মিত—কেন এমন মর্মান্তিক পরিণতি বেছে নিলেন তিনি?
তার মামাতো ভাই জোহায়েব নুর হামিম জানান, তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। হঠাৎ বাসা থেকে ফোন আসে—মেহজাবিন আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত নিচে নামালেও, সব শেষ হয়ে যায়।
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর এলাকায় সেতু থেকে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারান মেহজাবিনের ছোট বোন, স্কুলছাত্রী জেসমিন আক্তার তাজিন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজিন বান্ধবীদের সঙ্গে সেতুতে ঘুরতে গিয়ে রেলিংয়ে ওঠেন। এক বান্ধবী তার হাত ধরে রেখেছিল, কিন্তু হঠাৎ হাত ছেড়ে দিলে নদীতে পড়ে যান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি আত্মহত্যা ছিল, তবে পরিবারের দাবি ছিল এটি দুর্ঘটনা।
এভাবে দুই মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা মুক্তা মোর্শেদা। কান্নার শক্তিও যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মেহজাবিন ও তাজিনের বাবা রায়হানুর রহমান রায়ানের সঙ্গে মুক্তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৯ বছর আগে। পরবর্তীতে দুজনই নতুন সংসার শুরু করেন। মুক্তা সুনামগঞ্জ কালেক্টরেটে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন, কিন্তু এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ার পর তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, “পরিবার থেকে আত্মহত্যার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।”
এখনো কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না, মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এক পরিবারের দুই বোন কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? স্তব্ধ পুরো সুনামগঞ্জ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Janasarthe 24

আপনাদের আশে পাশে ঘটে যাওয়া প্রতি মুহুর্তের খবর দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন। আমরা আমাদের অনলাইনে তা প্রকাশ করে কৃতজ্ঞ হবো। আমাদের প্রতি মুহুর্তের খবর জানতে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

পাথারিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ড বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জে দুই বছরের ব্যবধানে দুই বোনের আত্মহত্যা, শোকে স্তব্ধ মা

আপডেট সময় ০৫:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুনামগঞ্জ সদর প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকায় একই পরিবারের ওপর নেমে এসেছে ভয়াবহ শোকের ছায়া। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে দুই মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মা মুক্তা মোর্শেদা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাহসিন মেহজাবিন (২১)। তিনি এইচএসসি পাস করে ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মেহজাবিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ তাদের বাসায় ভিড় করেন। এলাকাবাসী বিস্মিত—কেন এমন মর্মান্তিক পরিণতি বেছে নিলেন তিনি?
তার মামাতো ভাই জোহায়েব নুর হামিম জানান, তিনি কর্মস্থলে ছিলেন। হঠাৎ বাসা থেকে ফোন আসে—মেহজাবিন আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত নিচে নামালেও, সব শেষ হয়ে যায়।
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর এলাকায় সেতু থেকে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারান মেহজাবিনের ছোট বোন, স্কুলছাত্রী জেসমিন আক্তার তাজিন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাজিন বান্ধবীদের সঙ্গে সেতুতে ঘুরতে গিয়ে রেলিংয়ে ওঠেন। এক বান্ধবী তার হাত ধরে রেখেছিল, কিন্তু হঠাৎ হাত ছেড়ে দিলে নদীতে পড়ে যান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি আত্মহত্যা ছিল, তবে পরিবারের দাবি ছিল এটি দুর্ঘটনা।
এভাবে দুই মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা মুক্তা মোর্শেদা। কান্নার শক্তিও যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মেহজাবিন ও তাজিনের বাবা রায়হানুর রহমান রায়ানের সঙ্গে মুক্তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৯ বছর আগে। পরবর্তীতে দুজনই নতুন সংসার শুরু করেন। মুক্তা সুনামগঞ্জ কালেক্টরেটে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন, কিন্তু এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়ার পর তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, “পরিবার থেকে আত্মহত্যার বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।”
এখনো কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না, মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এক পরিবারের দুই বোন কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল? স্তব্ধ পুরো সুনামগঞ্জ।